দারাজ ডট কম, দারাজ অনলাইন শপিং
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অনলাইন শপিং মল সমূহের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভালোই ব্যাবসা করছে ই কমার্স ওয়েবসাইটগুলো। তবে বাংলাদেশের ই কমার্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবার প্রথমে বলতে হয় দারাজ অনলাইন শপিং, আজকের ডিল এবং ইভ্যালির কথা। এ তিনটি ই কমার্স ওয়েবসাইটের পরিচিতিই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে।
আগামীতেও অনলাইন শপিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি কারণ ইন্টারনেট সহজলভ্য হচ্ছে। স্মার্টফোনে সহজেই ইন্টারনেট ব্যাবহারের সুবিধা থাকায় ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া সামাজিক প্রচার মাধ্যম সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ই কমার্স ওয়েবসাইটগুলোর প্রচার প্রচারণার ফলে অনলাইন শপিংয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ এবং আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং এ আগ্রহ তরুণ তরুণীদের মধ্যেই বেশি। আরও পড়ুন বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয়।
ই কমার্স বা অনলাইন শপিং নিয়ে এই লেখাটি কাদের জন্য?
বাংলাদেশের অনলাইন শপিংয়ের বাজারে বড় একটি জায়গা দখল করে আছে ই কমার্স কোম্পানি daraz bd। এই পোস্টের আলোচ্য বিষয় মূলত daraz কে নিয়েই। দারাজের একজন নিয়মিত গ্রাহকের মুখ থেকে শুনবো daraz bd তে তার শপিংয়ের অভিজ্ঞতা। একজন গ্রাহক হিসেবে দারাজ ডটকম থেকে সে কেমন সেবা পেয়েছে এবং কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে কিনা বিস্তারিত শুনবো তার কাছে। যারা অনলাইনে শপিং করার আগে ভালোমন্দ ও বিশ্বস্ততা যাচাই করতে চান তাদের জন্য উপকারী হতে পারে লেখাটি। আরও পড়ুন ১০০০+ ফুলের ছবি ডাউনলোড করে নিন।
দারাজ কি? দারাজ ডট কম এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
২০১২ সালে বাংলাদেশে ব্যাবসা শুরু করে অনলাইন শপিং মল দারাজ। অবশ্য এটি বাংলাদেশের কোনো e-commerce প্রতিষ্ঠান নয়। মূলত জার্মানির কোম্পানি রকেট ইন্টারনেটের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এই daraz ই-কমার্স বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও নেপালেও অনলাইনে ব্যাবসা চালিয়ে আসছে।
জার্মানির রকেট ইন্টারনেট ও কাতারের ওরিডু গ্রুপের মিলিত ভেঞ্চার হিসেবে ২০১৫ সালে চালু করা হয় এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারনেট গ্রুপ বা এপিএসিআইজি। এশিয়া মহাদেশে উদীয়মান যত ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসার সুযোগ রয়েছে সেগুলিকে কাজে লাগানোর জন্য তারা কার্যক্রম শুরু করে। এপিএসিআইজি এ পর্যন্ত বেশ কিছু কোম্পানিকে দাঁড় করায়, যার মধ্যে রয়েছে লামুডি, দারাজ ডট কম, লাজাডা, জালোরা ইত্যাদি।
সর্বশেষ খবর হলো সম্প্রতি মে ২০১৮তে চীনের জায়ান্ট আলিবাবা গ্রুপ কিনে নিয়েছে daraz bd কে। ফলে দারাজ এখন আরো আধুনিক রূপে ই-কমার্স ব্যাবসার পথে অগ্রসর হচ্ছে। আরও পড়ুন ফ্রী ওয়েবসাইট তৈরির নিয়ম।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনও অনলাইন শপিংয়ে আগ্রহী নয় কেন?
অনেকেই জানেন অনলাইনে কেনা কাটা করা যায়। কিন্তু এখনো সবার আস্থা নেই অনলাইন শপিংয়ে। অনেকেই কোনো ই কমার্স ওয়েবসাইটের পণ্য পছন্দ হলেও দ্বিধায় ভোগেন কিনবেন কিনা। এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো কারণ আছে। যেমনঃ
- বাংলাদেশের মানুষ দর দাম করে কেনাকাটায় অভ্যস্ত। ফিক্সড রেটে পণ্য ক্রয় করলে ঠকতে হয় এমনই ধারণা অনেকের।
- শুধু পণ্যের ছবি দেখে এবং বর্ণনা পড়েই পণ্য পছন্দ করতে হয়। বাস্তবে পণ্যের সাথে এসব ছবি এবং বর্ণনা ১০০% নাও মিলতে পারে বলে অনেকের বিশ্বাস।
- এছাড়াও পণ্যের ডেলিভারির জন্য সময় এবং খরচেরও একটি বিষয় আছে।
নিয়মিত অনলাইনে কেনাকাটা করেন হবিগঞ্জের নজরুল খান। হবিগঞ্জ সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সিভিল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র তিনি। তবে Online shopping এ তার প্রথম পছন্দ দারাজ ডটকম। এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা হলো তার সঙ্গে। আসুন e commerce website daraz থেকে কেনাকাটা করার বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা জেনে নেয়া যাক!
প্রথমেই প্রশ্ন করলাম daraz থেকে শপিং করতে পছন্দ করেন কেন?
উত্তরে বললেন e commerce ওয়েবসাইটগুলোর মাঝে daraz এর সেবার মান সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তাই।
-- ২০১৬ সাল থেকে।
-- ১৫টি পণ্য কিনেছি।
--ভালোই তবে দুটি পণ্য ফেরত পাঠাতে হয়েছে কোয়ালিটি খারাপ হওয়ার কারণে।
-- পণ্য দুটি ইলেকট্রনিক্স পণ্য ছিলো। একটি Kemei ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক শেভার এবং আরেকটি মোবাইলের ক্যামেরা লেন্স। শেভারটির পাওয়ার অন হতোনা এবং লেন্সের পিকচার কোয়ালিটি খুব খারাপ ছিলো।
-- ইলেকট্রিক শেভারের মূল্য ছিলো ৮০০ টাকা এবং লেন্সের মূল্য ২০০০ টাকা। ইলেকট্রিক শেভারটি ফেরত দিয়ে এর পরিবর্তে ভাউচার কুপন নিয়েছি যা দিয়ে পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে সমপরিমাণ টাকার যে কোনো পণ্য ক্রয়ের সুযোগ ছিলো। আর লেন্সটি ফেরত দিয়ে ক্যাশ টাকা বিকাশে ফেরত নিয়েছি।
-- কোনো ক্ষতি হয়নি। ৮০০ টাকার ইলেকট্রিক শেভার ফেরত দিয়ে ১৬০ টাকা ক্যুরিয়ার খরচসহ মোট ৯৬০ টাকার ভাউচার কুপন পেয়েছিলাম। লেন্সের ২০০০ টাকার সাথে ক্যুরিয়ার খরচ ১৬০ টাকা এবং বিকাশ একাউন্টের ক্যাশআউট চার্জ ৪০ টাকা সহ মোট ২২০০ টাকা ফেরত পেয়েছিলাম।
-- সেবার মানের জন্যই daraz পছন্দ করি। যে কোনো বিষয়ে অভিযোগ অথবা প্রশ্ন করলে দ্রুত সমাধান পাওয়া যায়। এছাড়া পণ্যের ডেলিভারীও খুব দ্রুত। যে কোনো পণ্যের ওয়ারেন্টি থাকলে তার সেবার দায়িত্ব বহন করে। পণ্যের কোনো সমস্যা হলে বা রিটার্ন গেলে পরিবহন খরচ সম্পূর্ণরূপে বহন করে।
-- কিছু পণ্যের মূল্য বাজার দরের চেয়ে বেশি এবং কিছু পণ্যের মূল্য বাজার দরের চেয়ে কম। তবে মাঝেমধ্যেই সাশ্রয়ী অফার থাকে দারাজে। কিছুদিন আগে আমার কাজিন সুমনেকে একটি পাওয়ার ব্যাংক কিনে দেই daraz থেকে যার বাজার মূল্য ছিলো ৯০০ টাকা। অথচ দারাজ থেকে কিনলাম ৬৫০ টাকায়!
আলিবাবা গ্রুপ ২০০৯ সাল থেকে ১১ নভেম্বর অনলাইনে বার্ষিক কেনাকাটার উৎসব ইলেভেন ইলেভেন চালু করে। চীনের অনেক তরুণ-তরুণী এদিনটিকে ‘সিঙ্গেল ডে’ হিসেবে পালন করে থাকে।
আলিবাবা গ্রুপ দারাজ ডট কম কিনে নেয়ার পর প্রতি বছরই বাংলাদেশে এগারো এগারো উৎসব আয়োজন করা হয়। এদিন অর্থাৎ ১১ই নভেম্বর চমকপ্রদ সব অফার নিয়ে আসে দারাজ। বিভিন্ন পণ্যে দেয়া হয় বিশেষ ছাড়! সবচেয়ে আকর্ষণীয় অফার হলো ১১ টাকায় পণ্য কেনার সুযোগ। তবে গ্রাহকদের আগ্রহের কারণে এই অনলাইন কেনাকাটার উৎসব অনেক সময় বর্ধিত করে দারাজ ডটকম।
আলিবাবা গ্রুপ দারাজ ডট কম কিনে নেয়ার পর প্রতি বছরই বাংলাদেশে এগারো এগারো উৎসব আয়োজন করা হয়। এদিন অর্থাৎ ১১ই নভেম্বর চমকপ্রদ সব অফার নিয়ে আসে দারাজ। বিভিন্ন পণ্যে দেয়া হয় বিশেষ ছাড়! সবচেয়ে আকর্ষণীয় অফার হলো ১১ টাকায় পণ্য কেনার সুযোগ। তবে গ্রাহকদের আগ্রহের কারণে এই অনলাইন কেনাকাটার উৎসব অনেক সময় বর্ধিত করে দারাজ ডটকম।
জানা যায় ইলেভেন ইলেভেন সেল ডে তে আলিবাবা গ্রুপের বিক্রয় রেকর্ড ৩০.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
তবে প্রশংসার পাশাপাশি দারাজের বিরুদ্ধে গ্রহকদের অভিযোগেরও শেষ নেই। এজন্য যে কোনো ইকমার্স সাইট থেকে কেনাকাটার সময়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
অনলাইন শপিং কি, অনলাইন শপিং বিডি ঢাকা, সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং মল ইত্যাদি সম্পর্কে আপনাদের যে কোনো ভালো মন্দ অভিজ্ঞতা বা প্রশ্ন আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এখানে কমেন্ট করে।
অনলাইন শপিং কি, অনলাইন শপিং বিডি ঢাকা, সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং মল ইত্যাদি সম্পর্কে আপনাদের যে কোনো ভালো মন্দ অভিজ্ঞতা বা প্রশ্ন আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এখানে কমেন্ট করে।
ভাই দারাজে ৫০০০০+ টাকার পণ্য ক্রয় করলে প্রতারিত হবো না তো,,,
ReplyDeleteYES,,,,,,,,,,,,,
Delete